ফাজ ভাইরাসের গঠন


    ফাজ ভাইরাসের গঠন

ব্যাকটেরিয়াকে যেসব ভাইরাস আক্রমণ করে এবং ধ্বংস করে তাকে ব্যাকটেরিওফাজ বলে। মানুষের অস্ত্রে বসবাসকারী ই. কোলি ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী ভাইরাস কে জাতীয়  T- ফাজ বলে। এই ফাজ ভাইরাস দেখতে অনেকটা ব্যাঙাচির মতো। এরা সাধারণত একটি মাথা, একটি গ্রীবা এবং একটি লেজ বা পুচ্ছ থাকে। এছাড়াও পুচ্ছ এর নিম্ন ভাগে প্রান্তফলক বা ভিত্তিফলক থাকে। এই ধরনের ফাজ লম্বায় 65-200 মাইক্রো মিটার এবং চওড়ায় 50-70 মাইক্রো মিটার হয়। এদের দেহের বিভিন্ন   অংশগুলির  গঠন নিম্নরূপ

(১)মস্তক:

এটি লম্বায় 95 nm এবং চওড়ায় 65 হয়। মস্তকটির প্রাচীর 20টি তেকোনা ফলক জুড়ে গঠিত হয়। প্রাচীরে দুটি স্তর থাকে। ভেতরের ফাপা অংশে একটি 0.05 mm লম্বা দ্বিতন্ত্রী DNA প্যাচানো অবস্থায় থাকে। 

২) গ্রীবা

মস্তকের নীচের দিকে একটি ফাপা নলের মত অংশ থাকে। একে গ্রীবা বলে। গ্রীবাটি মস্তকের নীচের দিকের একটি ছোট ছিদ্রের ভেতরে ঢোকানো থাকে। গ্রীবার নীচের অংশটি পুচ্ছ নলের ছিদ্রের ভেতর ঢোকানো থাকে। গ্রীবারমাঝখানে একটি বলয়াকৃতি চাকতি থাকে এটি গ্রীবাকে বেড়ের মতাে ঘিরে থাকে। একে গ্রীবাবেষ্টনী বা কলার বলে।

(৩) পুচ্ছ:

গ্রীবার পিছনকার লম্বা নলের মতাে ফাপা  অংশকে পুচ্ছ বলে। পুচ্ছটি লম্বায় 95nm হয়। এই পুচ্ছনলের ভিতরকার ফাঁপা অংশের ব্যাস ৪nm হয়। পুচ্ছনলটির বাইরে একটি পুচ্ছ আবরণী থাকে। এটি সংকোচনশীল।

(৪) প্রান্তফলক বা ভিত্তিফলক:

পুচ্ছের তলায় একটি ছয়কোনা চাকতি থাকে, একে প্রান্তফলক বলে। এর মাঝখানে একটি ছিদ্র থাকে যার ভিতর পুচ্ছনলের প্রান্ত ঢােকানাে থাকে।প্রান্তফলকের প্রত্যেকটি কোনায় তলার দিকে একটি করে পেরেকের মতাে পায়া যুক্ত থাকে,এদের কীলক বলে। প্রান্তফলকের প্রত্যেক কোনায় উপর দিকে একটি করে লম্বা ভাজ করা সরুদণ্ডের মতাে অংশ যুক্ত থাকে এদের পুচ্ছসূত্র বলে।






Comments

Popular posts from this blog

কৃষিক্ষেত্রে শৈবালের ভূমিকা